রবিবার্তা ডেস্ক
আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত এক নাম দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সেরাজেম’ থার্মাল আকুপ্রেসার মূলত একটি আধুনিক ব্যায়েমের যন্ত্র, যা পৃথিবীর ৮০টিরও বেশী দেশে ব্যবহারকারীদের দ্বারা বিশেষ ভাবে পরীক্ষিত। এই যন্ত্রটির ব্যবহারের মাধ্যমে মানব দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি, স্নায়ুতান্ত্রিক ও মাংশপেশীর খিলধরা ভাব শৈথল্যতা দূরীকরণ ছাড়াও শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কোলেস্টরেল ও বর্জ্য পদার্থ সমূহ বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। ফলশ্র“তিতে মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ব্যবহারকারীকে সজীব ও রোগমুক্ত করে তোলে। ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সকাল ৯টায় সেরাজেম কুষ্টিয়া সেন্টারে হিলিং কনসালটেন্ট এ এস এম নাসের এর সঞ্চালনায় বিনামূল্যে সেবা গ্রহীতাদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সেরাজেম পণ্য প্রদর্শণ এবং বিক্রয় উপলক্ষে দশদিন ব্যাপি গ্রাহক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন উৎসব আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন সেন্টারের এমডি এস এম আলমগীর কবির, এসময় সেবা গ্রহীতা ও অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক। অতিথি বক্তা হিসাবে মীর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য “ডায়াবেটিস-সেবায় পার্থক্য আনতে পারেন নার্সরাই”। তিনি ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগী এবং সেবাগ্রহীতাদের বলেন, আপনারা উপকার পেয়ে থাকলে অবশ্যই অন্যদের জানাবেন, যেন তারাও বিনামূল্যে সেবা নিতে পারে এবং ভালো থাকতে পারে। সেরাজাম সেন্টারে থার্মাল থেরাপি নিয়ে ডায়াবেটিস ভালো হয়েছেন এমন অনেকে এসময় বক্তব্য রাখেন। ২২বছর ধরে সারা বিশ্বে সেরাজেম সেবা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে ১৫ বছর ধরে বিনামূল্যে সেবা প্রদান কার্যক্রম চলছে। কুষ্টিয়াতে প্রায় ৩ বছর ধরে পুলিশ লাইনের সামনে সাফিনা টাওয়ারের ২য় তলায় সেবা বিনামূল্যে সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শুক্রবার বাদে নিয়মিত সেবা প্রদান করা হয়। এই পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ ষাট হাজার সেবা গ্রহীতাকে সেবা প্রদান করা হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় পনেরটি সেশন হয়, প্রতিটি সেশনের আগে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করা হয়। ২৮টি মেশিনে দিনে প্রায় ৩০০-৪০০ সেবা গ্রহীতাকে বিনামূল্যে সেবা প্রদান করা হয়। যারা সেন্টারে নিয়মিত আসতে পারেন না এবং আর্থিক ভাবে সচ্ছল তাদের জন্য ১৪-২৪ নভেম্বর পর্যন্ত দশদিন ব্যাপি বিশেষ ছাড় দিয়ে সেরাজেম পণ্য প্রদর্শণ এবং বিক্রয় গ্রাহক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন উৎসবের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানটিতে ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করেন, হিলিং কনসালটেন্ট জেসমিন খাতুন ও সানজিদা রহমান আঁখি।
