স্টাফ রিপোর্টার ॥ সমকাল ও বিএফএফ’র আয়োজনে কুষ্টিয়ায় জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে উৎসবের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী। সমকাল সুহৃদ সমাবেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মিয়া জিন্নাহ আলম কলেজের উপাধ্যক্ষ জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক লাল মোহাম্মদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক শাম্মী আক্তার, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, সমকালের জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ রানা। এছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলো প্রতিনিধি তৌহিদী হাসান, মানবজমিন প্রতিনিধি দেলোয়ার রহমান মানিক, দৈনিক বাংলার নবকন্ঠ পত্রিকার কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম সুরুজ।
প্রধান অতিথি জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে অনেক ভূমিকা রাখে। বিজ্ঞান বিষয়ে এ প্রতিযোগিতা আরও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করবে মেধা বিকাশে। এ আয়োজন একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।’
জেলা পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দলগুলো হলো কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালেক্টটরেট স্কুল, পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজ, দি ওল্ড হাইস্কুল, দহকুলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ঝাউদিয়া বাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, কলকাকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কালেক্টরেট স্কুল। এর মধ্যে ফাইনালে বিজয়ী হয় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয় জিলা স্কুলের দলনেতা আসওয়াদ আহমেদ জীম।
বিচারক ছিলেন সরকারি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক লাল, রোটারিয়ান প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু। মডারেটর ছিলেন সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি জাহিদুজ্জামান ও সাবেক সভাপতি ও এনডিএফ বিডির কুষ্টিয়া জোন প্রধান অ্যাডভোকেট এস এম শামীম রানা।
এছাড়া রেজাল্ট শীট তৈরিসহ অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করেন সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সাধারন সম্পাদক আবু তালহা, যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিনর, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক পারভেজ হোসেন সদস্য সুমাইয়া আক্তার সুমি, শাম্মি আক্তার তন্নি, তানভীর মাহামুদ, কামরুল হোসেন রহিত, মেহেদী হাসান ও সুমাইয়া ইসলাম। প্রতিযোগিতা শেষে বিতার্কিকদের হাতে ক্রেষ্ট, মেডেল ও সনদ তুলে দেন অতিথিরা।