স্টাফ রিপোর্টার : “রোটারী ক্লাব অব কুষ্টিয়া”র উদ্দ্যোগে কর্মহীন অসহায় ক্ষুদ্রব্যাবসায়ী এক নারীকে ব্যবসায়িক সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। করোনা মহামারীতে পুঁজি হারিয়ে দিশে হারা এক ক্ষুদ্র নারী ব্যাবসায়ীকে নতুন করে তার ব্যবসা পরিচালনার জন্য রোটারী অব কুষ্টিয়ার সার্ভিস প্রকল্পের আওতায় ব্যবসার কাজে প্রয়োজনীয় সকল সামগ্রী প্রদান করা হয়। গতকাল দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের ছয় রাস্তার মোড়ে অবস্থীত রোটারী ফিজিওথেরাফি হসপিটাল থেকে এসব সামগ্রী হেলেনা বেগমের হাতে তুলে দেয়া হয়। রোটারী ক্লাব ৩২৮১ এর এসিস্ট্যান্ট গভর্নও রোটারীয়ান সৈয়দা হাবিবা (এ.কে.এস) বলেন, কুষ্টিয়া শহরের থানা পাড়া এলাকার এক ক্ষুদ্র নারী ব্যবসায়ী হেলেনা বেগম, দীর্ঘদিন ব্যবসা করে তার দুই কন্যা সন্তানকে সংসার চালিয়ে আসছিলো। করোনা মহামারীতে তার এক মাত্র ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে ফেলে সে। আমরা রোটারী ক্লাব অব কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে হেলেনা বেগম কে তার ব্যবসায়ী কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রদান করলাম। যাতে করে সে এই সব সামগ্রী দিয়ে নতুন করে তার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারে এবং অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে।
ক্ষুদ্র নারী ব্যবসায়ী হেলেনা বেগম রোটারী ক্লাব অব কুষ্টিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি ক্ষুদ্র ব্যবসা করে দুই কন্যাকে নিয়ে ভালোই চলতাম, কিন্তু করোনা মহামারীতে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে গিয়ে আমার ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে ফেলেছি। আজ রোটারী ক্লাব অব কুষ্টিয়ার পক্ষ থেকে আমাকে যে ব্যবসায়িক সামগ্রী প্রদান করো হলো এই জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানায়। এই সব সামগ্রী দিয়ে আমি নতুন করে আমার ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবো এবং দুই মেয়েকে নিয়ে আগামীতে সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করতে পারবো।
এসময় রোটারী ক্লাব অব কুষ্টিয়ার সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম রনি, রোটারীয়ান ওবায়দুর রহমান, তুষার রতন, ইন্টার্যাক্ট রোটার্যাক্ট সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, হেলেনা বেগম তার দুই কন্যা মদিনা (১২) এবং আমেনা (৪) কে নিয়ে দীর্ঘদিন রেনউ্ইক বাঁধে পাপড় ভেজে বিক্রয় করে সংসার চালাতেন। করোনা কালীন সময় দীর্ঘদিন রেনউ্ইক বন্ধ থাকায় তার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায় এবং সংসার চালাতে গিয়ে সে তার পুঁজি হারিয়ে নিস্ব হয়েছিলো।