মোংলা প্রতিনিধি : মোংলায় জমি নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে মাকে গাল-মন্দ্র ও শ্লিলতাহানীর প্রতিবাদ করায় হত্যার উদ্দোশ্যে এক যুবককে বাড়ীর গেট আটকিয়ে মেরে রক্তাক্ত জখম করেছে মহিদুল গ্রুপ নামের এক দল সন্ত্রাসীরা। পৌর শহরের মোড়শেদ সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটলে তার মায়ের আর্তনাতে ওই সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রাজু নামের যুবককে উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। প্রথমে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসারত অবস্থায় অবস্থা অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক। এ ব্যাপারে গতকাল ৬জনসহ অজ্ঞতনামাদের আসামী করে মোংলা থানায় মামলা দায়ের করেছে রাজুর মা নুরুন নাহার বেগম। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও মামলা সুত্রে জানা যায়, মোংলা পোর্ট পৌর শহরের মোড়শেদ সড়কের বাড়ীর এক খন্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিন দন্ধ চলে আসছিল সন্ত্রাসী মহিদুল গ্রুপের সাথে নুরুন নাহার বেগমের। এ জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইতি পুর্বে মহিদুলের সাথে কয়েকটি মামলাও রয়েছে আদালতে বিচারধীন। ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মহিদুল তার দলবল নিয়ে খলিল নামের অন্য একটি শরিকের জমি দখল করতেছিল। এসময় রাজুর মা নুরুন নাহার বেগম বাজার থেকে এসে বাসায় ঢুকতে গেলে মহিদুলসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ ও পিছন থেকে বোড়কা ও ওড়না ধরে টানা হেছড়া করে শ্লিলতাহানী করছিল। চিৎকার শুনে মায়ের স¤œান বাচাঁতে বাড়ীর ভিতর থেকে ছুটে এসে মাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে ছেলে রাজু। সন্ত্রাসীরা মাকে ছেড়ে দিয়ে ছেলেকে টেনে হেছড়ে মদিুলে বাড়ী গেট দিয়ে ভিতরে নিয়ে হত্যার উদ্দোশ্যে দেশীয় অস্ত্র দাও, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে বলে মামলায় উল্লেখ করে। সন্ত্রাসী মহিদুল গ্রুপের হামলা ও মারধরে মাথা ফেটে এবং শরীরে বিভিন্ন জায়গায় রক্তাক্ত জখম করে এবং ছেলে রাজুর গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে বলে জানায় মামলার বাদী নুরুন নাহার। পরে মায়ের চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রাজু (২২) কে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসারত অবস্থায় রাজুর অবস্থা বেগতিক দেখে দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গতকাল দুপুরে নুরুন নাহার বাদী হয়ে মহিদুল মিস্ত্রী, মোঃ জাকির ধোপা, মোঃ রনি মিস্ত্রী, জনি মিস্ত্রী, জিয়া ধোপা ও মনি বেগমসহ অজ্ঞত আরো কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং-১৯।
মামলা বাদী নুরুন নাহার বেগম বলেন, মহিদুল ও তার সন্ত্রাসী দলবলের ক্ষমতার দাপটে বিভিন্ন লোকদের জমি দখল করে বেড়ায়। আমার সাথেও জমি নিয়ে দন্ধে চলছে বহু দিন থেকে, মামলা চলছে আদালতে। গত বৃহস্পতিবার সকালে দিকে আমাকে মারধর ও সম্মানহানী করে। এসময় ছেলে বাচাঁতে আসলে তাকেও মেরে রক্তাক্ত জখম করে। খুলনায় চিকিৎসায় রয়েছে, নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পরছে তার অবস্থা গুরুতর। আসামীরা প্রকাশ্যে গুড়ে বেড়াচ্ছে, তাদের আটক করছে না পুলিশ।
অভিযুক্ত মহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ক্রয়কৃত এক খন্ড জমি জোর পুর্বক আটকে রেখেছে নুরুন নাহারসহ তার লোকজন। ওই দিন আমাকে দেখে গারাগালী করছে এবং আমাদের লোকজনকে মারধর করেছে নুরুন নাহার ও তার ছেলে রাজু।
মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুল ইলাম বলেন, শহরের মোরশেদ সড়ক এলাকায় মারামারীর ব্যাপারে ৬জনের নামে মামলা নেয়া হয়েছে। আহত রাজু খুলনায় চিকিৎসাধীন রয়েছে, তার খোজ খবর নেয়া হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।