নিজস্ব প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১২ জন মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্বারকলিপি দিয়েছেন।

কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের দাবীকৃত মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুল মালেক, গেজেট নং-৫৯৮ ও অন্য তিন জনসহ ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে অভিযোগের দাখিলের জবাব প্রসঙ্গে ও সংবাদ পত্রে বিভ্রান্তমূল সংবাদ প্রকাশ করায় এই স্বারকলিপি জমা দেওয়া হয়।

স্বারকলিপি এবং ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা সূত্রে জানা যায়, আ: মালেক কোনো সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার না। সেখানে আরও জানানো হয় আ: মালেক স¦ঘোষিত কমান্ডার।

১২ মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করে করে জানান, গত ১ আক্টোম্বর ২০২১ ইং তারিখে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায় কুমারখালীতে ১২ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়, তার প্রতিবাদও জানায় তারা। সেখানে আরও বলা হয়, এসব আদৌ সত্য নই, যাচাই-বাছাই হবার জন্য আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল আমরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদেরকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়েছিল আ: মালেক। সেই হুমকি এখন বিভিন্নভাবে প্রয়োগ করছে আমরা তাদের এই অসত্য ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, মৃত কফিল উদ্দিনের দুই ছেলে আব্দুল মালেক ও আব্দুল খালেক ১৯৭১ সলের এপ্রিল-মে মাসে পদ্মা নদীর শরণার্থীদের নৌকায় ডাকাতি করত এবং তাদের পাশের গ্রাম হিদু এলাকা রাধা গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, হিন্দু নারীদের নির্যাতন সহ এমন কোনো অপকর্ম নাই যা তারা করে নাই। বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধা মালেক ও খালেক এর নাম ভাঙ্গিয়ে খালেকের নির্দেশে খালেকের ছেলেসহ বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত ছিলো। অভিযোগে আরও জানা যায়, আব্দুল মালেকের ভারতীয় তালিকায় নম্বর সঠিক নয়, সে যে তালিকা নম্বর ব্যবহার করে সেটা ঠিক না। এছাড়াও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান কমান্ডার া যুদ্ধের পর পরে নিজ গ্রাম গট্রিয়াতে নানান খারাপ কাজ করায় এলাকাবাসী তার ওপর চড়াও হয়। সে সময় সে পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যায় এবং সেখানে আট-দশ বছর অবস্থান করে দেশে ফিরে আসে, তবে একজন ব্যক্তি পাকিস্তানে থেকে এসে কি করে বাংলার মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে এটা বোধগম্য নয় বলেও উল্লেখ করা হয়।

১২ মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে স্বারকলিপি প্রদানকারী মবিন উদ্দিন জানান, আ: মালেক কোনো সরকার কর্তৃক স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার না। আ: মালেক একজন স¦ঘোষিত কমান্ডার। এর আগে যাচাই-বাছাই হবার জন্য আমাদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেছিল আমরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাদেরকে দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়েছিল আ: মালেক। এর প্রেক্ষিতে আ: মালেকের ইন্ধনে গত ১ আক্টোম্বর ২০২১ ইং তারিখে দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকায় কুমারখালীতে ১২ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আমরা এই অসত্য ও বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এর বিচার দাবী করছি।

এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল জানান, ১২ জন মুক্তিযোদ্ধার দেওয়া স্মারকলিপি আমি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *