নিজস্ব প্রতিবেদক : একসাথে জন্ম নেওয়া পাঁচটি শিশুর একে একে মারা গেছে সব- কটি শিশু। মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে সর্বশেষ কন্যা শিশু কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেকক্ষন কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। জন্ম হবার এক সপ্তাহের মধ্যে সবকটি শিশু মারা গেছে বলে জানা যায়।
কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের (আরএমও) চিকিৎসক আশরাফুল আলম জানান, এক সাথে জন্ম নেয়া পাঁচটি শিশুর মধ্যে ছেলে শিশু ৩ তারিখ সকালে মারা যায় বাচ্চাটির ওজন ছিলো ৪৩০ গ্রাম এবং একই দিনে পরবর্তীতে দুটি মেয়ে শিশু মারা যায় তাদের ওজনও ৫০০ গ্রামের বেশী ছিলো না। ৪ তারিখে চতুর্থ কন্যা শিশু মারা যায় এবং সর্বশেষ পঞ্চম কন্যা শিশুটি ইনটেনসিভ কেয়ারে থাকাকালীন মঙ্গলবার অর্থাৎ ৯ তারিখ বেলা ১১ টার দিকে মারা গেছে। তিনি আরো জানান, গর্ভধারণের পাঁচ মাসের মাথায় জন্ম নেয়া শিশুদের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ছিল। বাচ্চাদের ওজন ছিলো ৪৩০ গ্রাম থেকে ৬৫০ গ্রামের মধ্যে। যেকারণে অনেক চেষ্টা করেও একটি শিশুও জীবিত রাখা সম্ভব হয়নি।
ভূমিষ্ট হবার এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ সন্তানের সব – কটি শিশু হারিয়ে বাবা সোহেল রানা আহাজারি করে বলেন, সন্তান জন্মের পরপরই চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী অথবা ঢাকা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি একজন চা বিক্রেতা আমার পক্ষে এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। হয়তো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করাতে পারলে আমার সব কয়টি শিশুই বেঁচে থাকতো।
উল্লেখ্য কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকার সোহেল রানার স্ত্রী প্রসূতি সাদিয়াকে (২৪) ১ নভেম্বর সোমবার রাত ১০ টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং পরেরদিন সকাল ১০ টায় প্রসূতি মায়ের ব্যাথা অনুভবের ১৫ মিনিট পরই তিনি নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুগুলো ঝুঁকিতে থাকলেও মা ছিলেন সুস্থ।