নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দীর্ঘ প্রায় তিন যুগের দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভার উদ্যোগে শহরের পশ্চিম মজমপুর (পুলিশ লাইনের সামনে) বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ সড়কে ড্রেন ও রাস্তার কাজের উদ্ধোধন করা হয়েছে। গতকাল সকালে এ উপলক্ষ্যে সড়কের প্রবেশ মুখে বিশ^াস ট্রেডার্স’র পশ্চিম পাশে কোদাল দিয়ে মাটি কেটে ১৫ কোটি ৪২ লাখ ৩৫ হাজার ৫৪৩ টাকা ব্যায়ে ৩ হাজার ৯১৫ মিটার আরসিসি সড়ক ও ৫ হাজার ১৯৫ মিটার ড্রেন নির্মাণ করা হবে। কাজটি এসিএন্ডএফপিটি (জেভিসিএ) নামক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করবে। এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী জুবায়ের মাহবুব জানান, দীর্ঘদিন থেকে এ সড়কটি নির্মাণের জন্য পৌরসভার উদ্যোগ ছিল। কিন্তু করোনা এবং ফান্ড জটিলতার দরুন তা করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে বর্তমান মেয়র, প্রকৌশলী শাখা ও কাউন্সিলর সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ সড়কের কাজটি শুরু করা সম্ভব হলো। তিনি আরও জানান, এক পাশে ড্রেন এবং সড়কের কাজ করতে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় সম্পন্ন করা হবে। নির্ধারিত পরিমাপ এবং এলাকাবাসীর চাহিদার প্রেক্ষিতে কাজটি যত দ্রুত সম্ভব শেষ করা হবে। সেই সাথে এলাকাবাসীকে কোন প্রকার দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেদিকেও গুরুত্ব দেয়া হবে বলে তিনি জানান। এ সময় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল, মহিলা কাউন্সিলর হালিমা খাতুন বন্নি, এসও জাহাঙ্গির আলম, একে এম মাহফুজ্জামান, শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি নুর আলম দুলাল, আওয়ামীলীগ নেতা ছালামত, বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, ট্রেজারার, বিশ^াস ট্রেডার্সের রোজসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সড়কের কাজের উদ্ধোধন শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন পৌর জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওলানা আবুল কালাম আজাদ।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে পশ্চিম মজমপুরসহ অত্র এলাকাটি পৌর এলাকার অন্তভুর্ক্ত হওয়ার পর থেকেই এলাকার মানুষ দাবী করে আসছিল বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদ সড়ক ও হাজীর গলি সড়কটি নির্মাণের জন্য। অবশেষে ২০১৯ সালে পৌরসভার অর্থ্যায়ন বিভাগ ইউজিপ-৩ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পৌরসভার তৎকালীন সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াহেদ এলাকাবাসীকে নিয়ে মসজিদ মাঠে এক বৈঠকে সকলের মতামত নিয়ে এলাকার সড়ক ও ড্রেনেজ কাজ করার কথা জানান। পরবর্তিতে করোনার কারণে তা আর হয়ে উঠেনি। এতে করে দৈনন্দিন সাংসারিক পানি, বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি প্রায় সারা বছর চলাচলের জন্য অনুপোযোগী হয়ে থাকতো। মুমুর্ষ রোগী, বৃদ্ধ, স্কুল গামী ছাত্র, ছাত্রীসহ সকল পেশাজীবির মানুষ এ সড়ক দিয়ে চলাচলে দারুন দুর্ভোগে পড়তো।
