বিশেষ প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার চাউলের মোকাম খাজানগর থেকে চাল বোঝাই ট্রাক মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর পাঠানোর পর নিখোঁজের এক সপ্তাহ পরে চাল উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাল উদ্ধার করে চট্টগ্রাম পুলিশ। পরে চাল জব্দ করে আসামী ওই ট্রাক চালককে কুষ্টিয়া নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা যায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাউলের মোকাম খাজানগর মেসার্স হাজী কাশেম এগ্রো ফুড থেকে গত ১৪ নভেম্বর ৩৬০ বস্তা মিনিকেট চাল ট্রাকে লোড করা। চালক মান্নানের সাথে চুক্তি অনুযায়ী ট্রাকে ৫০ কেজি চালের ১৬০ বস্তা এবং ২৫ কেজি চালের ২শ বস্তা মোট ৩৬০ বস্তা চাল লোড দেয়া হয়। ওই চালের বর্তমান মূল্য ৬ লাখ ৯৬ হাজার ২ শ টাকা বলে জানান চালের মালিক।
ট্রাকটি চাল নিয়ে মোকাম ছেড়ে যাওয়া পর থেকেই একাধিকবার চালক মান্নানকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ দেখায়। দুশ্চিন্তায় পড়ে চাল ব্যবসায়ী। ঘটনার পর দুদিন ধরে ফোন দিলে চালকের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এছাড়া মুন্সিগঞ্জের বিনোদপুর নিপা রাইস এজেন্সির মালিকের সাথে যোগাযোগ করা হলেও সেখান থেকে জানানো হয় ট্রাকসহ চালক সেখানে পৌঁছাইনি। পর হাজী কাশেম এগ্রো ফুড এর মালিক থানায় অভিযোগ করেন । এরপর থেকেই অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। পরে সোর্সের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে ওই ট্রাকের চাল চট্টগ্রাম একটি রাইচ মিলে আনলোড করেছে ওই ট্রাকের চালক মান্নান। পরে এক অভিযান চালিয়ে ২১ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম জেলার বাকলিয়া থানার রাজাখালি রোড এলাকা থেকে ওই ট্রাক চালক মান্নানকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের জিজ্ঞসাবাদে তার স্বীকারোক্তিতে ৫০ কেজির ১৬০ বস্তা এবং ২৫ কেজির ১৯৮ বস্তা সহ সর্বমোট ৩৫৮ বস্তা চাউল উদ্ধার এবং জব্দ করেন।
পরে আসামী মান্নানকে কুষ্টিয়া পুলিশের এস আই মেহেদী হাসান ( ইনচার্জ জগতি পুলিশ ফাড়ি) সঙ্গীয় ফোর্স এর কাছে হস্তান্তর করেন চট্টগ্রাম পুলিশ।
আসামী মান্নান (৫৫) কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মহিচায় গ্রামের মৃত দুধ মিয়ার ছেলে।