আবুল হোসেন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকা থেকে শনিবার ভোরের দিকে
চিহিৃত ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য জুয়েল ফকিরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।
সে উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার মনির ফকিরের ছেলে।
এ সময় পুলিশ তার বাড়ি থেকে লুন্ঠিত দুটি মোবাইল ফোন, একটি ডায়মন্ডের আংটি ও
একটি স্বর্ণের লকেট উদ্ধার করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ উদ্ধারকৃত মালামাল প্রকৃত
মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১ মার্চ ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে যশোর থেকে আসা ঢাকাগামী একটি
যাত্রীবাহী বাসের নারী যাত্রী দৌলতদিয়ার ৩নম্বর ফেরি ঘাটে দাড়িয়ে ফেরির জন্য
অপেক্ষা করছিল। এসময় চার ছিনতাইকারী অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার ভ্যানিটি
ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যাগের মধ্যে দামী আইফোনসহ দুটি মোবাইল ফোন, একটি স্বর্ণের
আংটি, একটি স্বর্ণের লাভ আকৃতির লকেট, একজোড়া স্বর্ণের কানের দুল, একটি
ডায়মন্ডের আংটি ও ইসলামী ব্যাংকের একটি এটিএম কার্ড ছিল। তিনি চিৎকার করলে
অন্যান্য যাত্রীরা আসার আগেই ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে
গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ছিনতাইকারীদের ধরতে এবং মালামাল উদ্ধার করতে মাঠে কাজ
শুরু করে। সাথে খোয়া যাওয়া মালের মালিককে থানায় মামলা করতে বলেন। পরবর্তীতে গত
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) নারী বাস যাত্রীর বড় ভাই নড়াইল সদর উপজেলার
রামেশ্বরপুর গ্রামের ইমারত খান এর ছেলে জুয়েল খান (৩৬) বাদী হয়ে মামলা দায়ের
করেন। পুলিশ প্রযুক্তিগত সহায়তায় জড়িত জুয়েল ফকিরকে শনিবার ভোররাতে দৌলতদিয়ার
৭নম্বর ফেরি ঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার জানান,
গ্রেপ্তারকৃত জুয়েলের কাছ থেকে ডায়মন্ডের আংটি ও দামী দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার
করা হয়েছে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জড়িত অপর আসামীদের কাছে অন্যান্য মালামাল
রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হবে। ধৃত
জুয়েলের বিরুদ্ধে থানায় ৪টি ছিনতাই মামলা রয়েছে। তাকে শনিবার দুপুরে রাজবাড়ীর
আদালাতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।