আবুল হোসেন,রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি ও ঘাট সংকট কারণে পণ্যবাহী ট্রাকের লম্বা সিরিয়াল তৈরী হয়েছে। ফলে এক থেকে দুইদিন পর্যন্ত নদী পারের অপেক্ষায় থকতে হচ্ছে অপচনশীল পন্যবাহী ট্রাক চালকদের। এছাড়া যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ফেরি পেতে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে এ নৌরুটে চলাচলরত চালক ও যাত্রীদের।
সরেজমিনে ২৪ এপ্রিল শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘাট এলাকা ঘুরে দেখো যায়, দৌলতদিয়া ঘাট অভিমুখে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিডমিলস্ হতে ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার সড়কে পন্যবাহি ট্রাকের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে অপর লাইনে যাত্রীবাহী বাস রয়েছে।
জানা যায়, বর্তমানে এ নৌরুটে ১৯ টি ফেরির মধ্যে চলাচল করছে ১৭টি। এছাড়া দৌলতদিয়া প্রান্তের সাতটি ফেরী ঘাটের মধ্যে তিনটি ঘাট বন্ধ বয়েছে। বাকি ৪টি ফেরি ঘাটের ৩টি ঘাট সচল রয়েছে। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে সকালে ৫ নম্বর ঘাটটি বন্ধ রেখে কাজ করে বিআইডব্লিউটিএ। পরে ঘাটটির কাজ শেষে দুপুর ১২টা দিকে চালু হয়। পরবর্তীতে ৩ নম্বর ঘাট বন্ধ করে উচু করার কাজ শুরু করা হয়। অপর দিকে এক ও দুই নাম্বার ফেরী ঘাট দীর্ঘ দিন অচল হয়ে আছে। ছয় নাম্বার ঘাটি মাঝে মাঝে বন্ধ থাকে। যার কারণে দৌলতদিয়ায় সিরিয়াল তৈরি হয়। তবে যাত্রীবাহি ও পচনশীন পন্যবাহি ট্রাক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঘাট কর্তৃপক্ষ।
যশোর আসা পণ্যবাহী ট্রাক চালক রায়হান বলেন, গতকাল রাতে এসেছি এখন দুপুর সাড়ে ১২টা বাজে ঘাট থেকে ৫ কিলোমিটার দুরে আছি। জানিনা কখন ফেরির নাগাল পাবো। তবে প্রচন্ড গরমে মহাসড়কে সিরিয়ালে থাকতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এরপর আশে পাশে খাবার ও টয়লেটের ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বরিশাল – ঢাকা বোড়ের সাকুরা পরিবহনের ঘাট সুপারভাইজার রাজু মোল্লা বলেন, দৌলতদিয়া ঘাটে দুর্ভোগের শেষ নেই। এই দুর্ভোগ ঈদে কয়েকগুন বৃদ্ধি পাবে। কারণ প্রতিনিয়ত দৌলতদিয়া ঘাটে দীর্ঘ যানবাহনের সারি থাকছে। ঈদে ঘর মূখো যাত্রীদের আরো দুর্ভোগ হবে। এই নৌরুটের যাত্রী দুর্ভোগ কমাতে ফেরি বৃদ্ধি ও অচল ফেরী ঘাট গুলো সচল করার কোন বিকল্প নেই।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট সহকারী ব্যবস্থাপক আলিম দাইয়ান বলেন, এ নৌরুটে ছোট বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। এবং দৌলতদিয়া প্রান্তে ঘাট সচল আছে ৩টি। যে কারণে যানবাহনের সিরিয়াল কিছুটা দীর্ঘ হয়েছে। তবে পচনশীল পন্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস অগ্রাধীকারে পারাপার করা হচ্ছে।