আবুল হোসেন, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের কৃষক আর কয়েক দিন পরেই পাকা ইরি ২৮ ও বোরো ধান কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আশা করেছিলেন পাকা ধান কেটে ঘরে তুলবেন। ঘূর্ণিঝড় অশেনির কারনে বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে কেড়ে নিলো তাদের হাসি।
পানিতে ধান তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে চর অঞ্চলের কৃষকদের। কাচা ও আধাপাকা ধান কেটে ফেলায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
১১ মে বুধবার সরেজমিনে দৌলতদিয়া ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় অশেনির আতংকে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছে তারা। বেশি দামে ধান কাটার শ্রমিক নিতে হচ্ছে তাদের। নিচু ধানের জমি গুলোতে বৃষ্টির পানি জমে ধানের গোড়ায় পচন ধরায়, কাচা ও আধা পাকা ধান কেটে বাড়ীতে আনছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। বাতাসে ধান ক্ষেত গুলোকে লণ্ডভণ্ড করে ফেলছে।
কৃষি সম্পসারন বিভাগ বলছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সহযোগিতার আওতায় এনে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে।
দক্ষিন দৌলতদিয়া হাচেন মোল্লার পাড়ার কৃষক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, দশ বিঘা জমির ধান লাগিয়েছিলাম। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে গেছে। পানি জমার কারনে ধানের গোড়ায় পচন ধরেছে। বাধ্য হয়ে কাচা, আধা পাকা ধান কেটে নিচ্ছি।
চর দৌলতদিয়া সিরাজ খার পাড়ার কৃষক মোস্তাক খা বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে পচিশ মন ধান পাওয়ার কথা থাকলেও, এখন পাওয়া যাবে অর্ধেকেরও কম। তা ছাড়া জমিতে পানি জমে থাকার কারনে ধান কাটা শ্রমিকের দাম ও বেশি দিতে হচ্ছে। ফলে ধান ও আর্থিক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর ফরিদপুর অঞ্চলের অফিসার ইনচার্জ এস,এম সুরজুল আমিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় অশেনির প্রভাবে এখন বৃষ্টি হচ্ছে। গত চব্বিশ ঘন্টায় ৫২.২ মিঃ মিটার বৃষ্টি পাত হয়েছে। যা এ বছরের মধ্যে সর্ব্বোচ রেকর্ড । আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি অব্যহত থাকবে।
গোয়ালন্দ কৃষি অফিসার মো. খোকন উজ্জামান বলেন, ঘূণিঝড় অশেনির কারনে অতিরিক্ত বৃষ্টিতে নিচু অঞ্চলের ধানের জমিতে পানি জমেছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে পরবর্তীতে প্রণোদনা সহায়তা করা হবে।