মোংলা প্রতিনিধি : মোংলায় ভুমি অফিসের এক চতুর্থ শ্রেনী কর্মচারীর অত্যাচারে অতিষ্ট চাদপাই ইউনিয়নের কাইনমারী ও মালগাজী গ্রাম এলাকার গরিব ও অসহায় মানুষ। তিনি ভুমি অফিসে চাকরীর সুবাদে গড়ে তুলছে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর। কাগজ পত্রে ভুল দেখিয়ে দখল করছে অসহায় মানুষের জমি ও বাড়ী ঘর। তেমনী একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পুর্ব কাইনমারী এলাকায় জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলা ও মারধরে রক্তাক্ত জখম হয়েছে মনিময় মন্ডল নামের এক ৭০ বছর বয়সের বৃদ্ধ। গত ১০ জুন সকাল পোনে ১১টার দিকে বাড়ী থেকে সামনে বেড় হলে কাইনমারী মেইন রাস্তার উপর এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আহত মনিময় মন্ডল ও থানায় দেয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোংলা উপজেলার চাদপাঁই ইউনিয়নের পুর্ব কাইনমারী ৬নং ওয়ার্ডে বীনয় মন্ডল ও দিপিকা মল্লিক বসবাস করে। একই এলাকায় থাকে ৭০ বছর বয়সের মনিময় মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা। দিপিকা মালগাজী ভুমি অফিসে চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী হিসেবে চাকরী করার সুবাধে এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তির জমি জমা সংক্রান্ত বিষয় কাগজ পত্র ভুল সংশোধন করার কথা বলে নিজে ফায়দা লুটে নেয়ার কাজে লিপ্ত থাকে বলে বহু অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। তাই ওই এলাকার অনিতা বিশ্বাসের এক খন্ড জমি ক্রয় করতে যায় মনিময় মন্ডল ও তার পরিবারের সদস্যরা কিন্ত সে জমি দিপিকা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন বিক্রি করতে দিবেনা বলে জোর পুর্বক দখল করে রাখে। যা নিয়ে ইতি পুর্বে থানার অভিযোগে দায়ের করেন ওই জমির মালিক বৃদ্ধা অনিতা বিশ্বাস। এ জমি ক্রয়ের বিষয়ে শত্রুতার জের ধরে মনিময় মন্ডলের সাথে ভুমি অফিসের কর্মচারী দিপিকা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে শত্রুতা চলে আসছিল।
১০ জুন শুক্রবার সকালে বাড়ী সামনে হাটতে বেড় হয় বৃদ্ধ মনিময় মন্ডল। পুর্ব এ শত্রুতার জের ধরে দিপিকা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন হঠাৎ তার উপর আর্তকিত হামলা চালায়। এসময় তাদের মারধরে বৃদ্ধ মনিময় মন্ডল রক্তাক্ত জখম হয়। তার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে প্রচুর রক্তাক্ত খরন হওয়ায় এখনও সম্পুর্ন শঙ্কা মুক্ত হয়নী অসহায় বৃদ্ধ মনিময় মন্ডল বলে জানায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এব্যাপারে বিনয় মন্ডল ও ভুমি অফিসের কর্মচারী দিপিকা মল্লিকসহ অজ্ঞত নামাদের আসামী করে মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে মনিময় মন্ডল ও অনিতা বিশ্বাস। তবে দিপিকা মল্লিক একই এলাকার ভুমি অফিসে নিযুক্ত থাকায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরাও নিরিহ মানুষদের ভুল বুঝিয়ে জমি জমা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে দন্ধে জড়িয়ে থাকে বলে বহু অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি গরিব ও অসহায় মানুষদের ভুল বুঝিয়ে জমি জমার কাগজ পত্রে সমস্যা দেখিয়ে সল্প মুল্যে বহু জমির মালিক হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এব্যাপারে মোংলা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক এস আই হাদিউজ্জামান বলেন, কাইনমারী এলাকার জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি মারামারীর ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সে বিষয় নিয়ে ১১ জুন শনিবার দুপুরে সরে জমিনে তদন্ত করা হয়েছে। তবে জমি সংক্রান্ত বিষয় একটু সময়ের প্রয়োজন, তার পরেও তদন্ত চলছে, দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন পুলিশের এ কর্মকর্তার। ###