ঝিনাইদহ ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুরে মহেশপুর আমলী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আব্দুল হক নামের এক মৎস্যজীবী। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- শ্রী প্রল্লাদ হালদার, শ্রী দিপক হালদার, জাহাঙ্গীর আলম স্বপন, ইউনুছ শেখ, ছরোয়ার শেখ, সন্টু মন্ডল, বিপ্লব হোসেন, মন্টু হোসেন, বাছির আলী, রেজাউল ইসলাম, লক্ষন হালদার, জিয়ারত মন্ডল, মাবুদ মন্ডল, ভাদ্র হালদার, ঝন্টু হালদার, শরজিৎ হালদার, কানাই হালদার ও ইকরামুল হোসেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালে উপজেলার সলেমানপুর বাওড় ইজারা পায় সলেমানপুর মৎস্যজীবী সমিতি। ইজারার পর ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চলসহ আসামিরা সভাপতি আব্দুল হকের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি তাদের ৩ লাখ টাকা প্রদান করেন । পরের দিন বাওড়ের ৫’শ মণ মাছ, ২টি বেড় জাল ও ৪ টি নৌকা লুট করে নেন আসামিরা। যেগুলোর বাজার মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৬ লাখ টাকা। চাঁদা না দিলে বাওড়ে যেতে দেননি। প্রভাবশালী হওয়ায় এত দিন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সাহস পাননি ভুক্তভোগীরা।
বাদীপক্ষের আইনজীবি জাকারিয়া মিলন বলেন, বাওড় ইজারার ঘটনায় চাঁদা দাবির প্রেক্ষিতে আব্দুল হক ১৯ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।