কৃষি প্রতিবেদক ॥
“চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তিন দিনের বৃষ্টিতে কুষ্টিয়ায় মাঠ ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে। টাকার হিসাবে তা ৮কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। এর মধ্যে রয়েছে আমন ধান, কলা, সবজি, মাসকলাই, তুলা, মরিচ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও পেঁপে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, সেপ্টেম্বর মাসের ১৪, ১৫ এবং ১৬ তারিখের অতিবৃষ্টির প্রভাবে কুষ্টিয়ায় ১ হাজার ৬শ ৬৯ জন কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। যার আনুমানিক ক্ষতির পরিমান ৮ কোটি ৪৪ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা।
কুষ্টিয়া সদর, খোকসা, কুমারখালী, মিরপুর, ভেড়ামারা ও দৌলতপুর উপজেলায় এসব ফসলের মধ্যে আক্রান্ত ফসলি জমির পরিমান ৮৯০ হেক্টর। আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান ৫৩০ দশমিক ৫০ হেক্টর জমি। এর মধ্যে আংশিক থেকে পরিপূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৮৮ দশমিক ৫৪ হেক্টর জমি। এছাড়া সম্পূর্ণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান ১১৮ দশমিক ৫৪ হেক্টর। যা জেলার মোট ফসলী জমির দশমিক ১১ শতাংশ। ফসল উৎপাদনে ক্ষতির পরিমান প্রায় ১৯৯৪ দশমিক ৬৬ মেট্রিকটন। জেলা জুড়ে আমন ধান, কলা, সবজি, মাসকলাই, তুলা, মরিচ, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ও পেঁপের এবছর আবাদ হয়েছিলো ১ লাখ ৫ হাজার ৩শ ২৭ হেক্টর, ক্ষতিবাদে এখন দন্ডয়মান রয়েছে ১ লাখ ১ হাজার ৯শ ২৪ হেক্টর।
সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ জমির মধ্যে ১৩৮ জন কৃষকের আমন ধান ১৭ দশমিক ০৪ হেক্টর যা মোট আবাদের শুন্য দশমিক ০১৯ শতাংশ, ৩৮৬ জন কৃষকের কলা ২৬ দশমিক ৫০ হেক্টর যা মোট আবাদের শুন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৬৫৫ জন কৃষকের সবজি ৩২ দশমিক ৩৮ হেক্টর যা মোট আবাদের শুন্য দশমিক ৬৭ শতাংশ, ৩৯৭ জন কৃষকের মাসকলাই ৩৩ দশমিক ৫৯ হেক্টর যা মোট আবাদের শুন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ, ৩ জন কৃষকের তুলা শুন্য দশমিক ১৩ হেক্টর যা মোট আবাদের শুন্য দশমিক ০২১ শতাংশ, ৬৭ জন কৃষকের মরিচ ৬ হেক্টর যা মোট আবাদের শুন্য দশমিক ১৫ শতাংশ, ১৭ জন কৃষকের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ ২ হেক্টর যা মোট আবাদের ১ দশমিক ১৩ শতাংশ,
৬ জন কৃষকের পেঁপে ১ হেক্টর যা মোট আবাদের শুন্য দশমিক ৩০ শতাংশ।
তিন দিনের এ অতিবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে কলা। যা ৩৮৬ জন কৃষকের ১০১২ দশমিক ৫০ মেট্রিকটন। যার বাজার মুল্য প্রায় ৪ কোটি ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমানের দিক দিয়ে মাসকালাই এর ক্ষতিগ্রস্থ জমির পরিমান ৩৩ দশমিক ৫৯ হেক্টর। যার বাজার মুল্য প্রায় ৬৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
এছাড়া কৃষি অফিসে দেওয়া তথ্য মতে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চর এলাকা চিলমারী, রামকৃষ্ণপুর, ফিলিপনগর ও মরিচা ইউনিয়নের নিচু চর ডুবে মাসকলাই এবং মরিচের ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সম্ভাব্য মাসকলাই এর পরিমান ১ হাজার ৬শ ৭৯ হেক্টর এবং মরিচ ৭০ হেক্টর। যার ক্ষতির বাজারমুল্য নির্ধারিত হয়নি এখনো।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান জানান, “সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি এবং পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পরবর্তী চাষাবাদে পরামর্শ এবং প্রনোদনা দেওয়া হবে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ক্ষতিগ্রস্থ চর এলাকা পরিদর্শন করেছি। দৌলতপুর উপজেলায় পদ্মার পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব মাসকলাই ও মরিচ ক্ষেত ডুবে গেছে সেগুলো কৃষি জমির মধ্যে পড়ে না। কৃষকরা এগুলো বাড়তি সুবিধা নিয়ে থাকে। প্রতিবছর এত পানি বৃদ্ধি না উঠায় কৃষকরা বালুর চরে মাসকলাই চাষ করে থাকে। তবে এবার পানি বৃদ্ধির পরে সেগুলোতে ক্ষতি হয়েছে। তবে তার আর্থিক ক্ষতির পরিমান এখনো নিরপণ করা যায়নি।
এলজিইডিকে ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
রিসাইলেন্ট আরবান অ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এলজিইডিকে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০…