ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গত ১ অক্টোবর নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছিলো ইরান। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এ হামলার জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। সময়ের সাথে সাথে ইসরায়েলের পালটা হামলার আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। অন্যদিকে তেলআবিব হামলা চালালে পালটা জবাব দিতে দেরি করবে না বলে তেহরানও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছে বিশ্বশক্তিগুলো।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইরানের বেশ কিছু লক্ষ্যবস্তুতে হামলা না করার জন্য ইসরায়েলের কাছে অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুধু তাই নয়; এসব লক্ষ্যবস্তুতে হামলা না করা হলে ইসরায়েলকে ইরানের হামলা বাবদ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেয় ওয়াশিংটন। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ‘দ্য জেরুজালেম পোস্ট’।
ইসরায়েলি সাংবাদিক অ্যামিচাই স্টেইন জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছেন। যেখানে ইরানের হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েল হামলা না চালালে ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ইরানে কী ধরনের হামলা চালানো হতে পারে তা নিয়ে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনাকালে ওই ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দেয়া হয়। ক্ষতিপূরণ প্যাকেজে ইসরায়েলকে আরও কূটনৈতিক নিরাপত্তা প্রদান এবং অস্ত্র দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে ইসরায়েলি নাগরিকদের সুরক্ষা এবং রাষ্ট্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তেলআবিবের যা করণীয় তাই করা হবে, তা করব। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ।