
আগামী ৯ অক্টোবর, বুধবার থেকে টানা ৬ দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে- এ অজুহাতে দিনাজপুরের হিলিতে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। এদিকে একদিনে ৩৫ ট্রাক কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় কেজিতে দাম কমেছে ৪০ টাকা।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় হিলি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, একদিন আগে আমদানিকৃত পেঁয়াজ মানভেদে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা ১৫ বাড়িয়ে ৮৫ থেকে ৯০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেশী পেঁয়াজও কেজিতে ১০ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সোমবার খুচরা বাজারে আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে। ৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার কেজিতে ৪০ টাকা কমে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা জানান, সম্প্রতি ভারতের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত মাসে (১৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজ রফতানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ ও রফতানি মূল্য প্রতি মেট্রিকটন ৫৫০ মার্কিন ডলার থেকে ১৪৫ ডলার কমিয়ে ৪০৫ ডলার নির্ধারণ করে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এরপর থেকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়।
বর্তমানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন পেঁয়াজ আমদানি হলেও চাহিদার তুলনায় কম আমদানি হওয়ায় খুচরা বাজারে দাম বাড়ছে। তবে পুজার আগে পেঁয়াজের দাম কমার সম্ভবনা নেই দাম আরও বাড়তে পারে।
হিলি বাজারের একজন পেঁয়াজ বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, কয়েক দিনে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। তার পর কেন যে দাম বাড়ছে তা আমাদের জানা নেই। গত সোমবার সন্ধ্যায় বন্দরের পাইকারি বাজারে মানভেদে ৯০ থেকে ৯২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। আমার একদিন আগে পেঁয়াজ কেনা ছিল- সেই পেঁয়াজ বিক্রি করছি ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে। আর এ পেঁয়াজ থেকে একটু ভালোটা বিক্রি করছে ৯০ টাকা কেজি দরে, যা একদিন আগে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বন্দরের পাইকারি বাজার থেকে কম দামে কিনতে পারলে কম দামেই বিক্রি করি। পচনশীল পেঁয়াজ বন্দরে যদি ৮৭ টাকা কেজি দরে কিনলে রাতের মধ্য অনেক পচা পেঁয়াজ বের হয়। বস্তা প্রতি ৩ থেকে ৫ কেজি পচা পেঁয়াজ বের হয়। ফলে আমাদেরও লোকসান হয়। আমরা দুই এক টাকা লাভ রেখে পেঁয়াজ বিক্রি করে দেই।
হিলি বাজারের খুচরা কাঁচা মরিচ বিক্রেতা শেখ বিপ্লব বলেন, গতকাল সোমবার কাঁচা মরিচ বিক্রি করেছি ২৪০ টাকা কেজি দরে। গতকাল বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ কাঁচামরিচ আমদানি হওয়ায় কেজিতে ৪০ টাকা কমে আজ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। টানা অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়াতে কাঁচা মরিচের ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় দেশীয় কাঁচা মরিচ এখন পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আমদানিকৃত কাঁচা মরিচ বিক্রি করছি।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে ৩ দিনে ভারতীয় ৪৫টি ট্রাকে ১ হাজার ২৪৯ মেট্রিকটন ৬০০ কেজি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। গতকাল সোমবার একদিনে ভারতীয় ৩৫টি ট্রাকে ৩০৮ মেট্রিকটন ৯৭০ কেজি কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে হিলি বন্দর দিয়ে।