সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৩২ বছর করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু ৩৫ প্রত্যাশীরা সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে। এবার বয়সসীমা পরিবর্তন করে ৩৫ করার দাবিতে সরকারকে এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। দাবি না মানলে জেলা টু ঢাকা লংমার্চ কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারিও দেন আন্দোলনকারীরা।
৫ নভেম্বর, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ’র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক মো. শরিফুল হাসান শুভ এ ঘোষণা দেন।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, অতীতের সরকার আর আপনাদের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারি যুক্তির বিষয়ে। আমরা রাজপথে থাকবো। রাজপথে না রেখে পড়ার টেবিলে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্য বক্তারা বলেন, চাকরিতে বয়সসীমা ৩২ বছর করে জারি করা প্রজ্ঞাপন আমাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। আপনারা যদি নিজেরাই এই সিদ্ধান্ত নেবেন, তাহলে কেন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন?
তারা আরও বলেন, তদন্ত কমিটি কী তাহলে অযোগ্য ছিল? যদি তারা অযোগ্য হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা সেটা স্বীকার করুন। আর যদি আপনারা মনে করেন যে তারা যোগ্য ছিল, তাহলে তাদের সিদ্ধান্ত মেনে নিন। তারা ৩৫ ও ৩৭ এর যে প্রস্তাবনা দিয়েছিলেন সেটা মেনে নিয়ে গেজেট প্রকাশ করুন।
উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ চেয়ে চাকরিপ্রত্যাশীরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এর প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকার সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বয়স ৩৫ করার পক্ষে একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে ছেলেদের ক্ষেত্রে ৩৫ ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩৭ সুপারিশ করে উপদেষ্টা কমিটিতে পাঠায়।
পরে গত ২৪ অক্টোবর বয়সসীমা ৩২ ও বিসিএসে সর্বোচ্চ ৩ বার অংশগ্রহণ করার কথা জানায় কমিটি। এরপর সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে বৃহস্পতিবার(৩১ অক্টোবর) বয়সসীমা ৩২ এবং বিসিএসে ৪ বার অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। যা এখনও বহাল রয়েছে।