উয়েফা নেশনস লিগে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় পেয়েছে পর্তুগাল। এই ম্যাচেও পর্তুগিজদের জয়ের নায়ক ক্রিশ্চিয়ানো রোনালাদো। জয়সূচক গোলটি করেছেন রোনালদো।
প্রথম ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষেও ২-১ গোলে জিতেছিল পর্তুগাল। ওই ম্যাচে দ্বিতীয় গোলটি করেছিলেন রোনালদো। ওই গোলের সুবাদে
প্রথম ফুটবলার হিসেবে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে মোট ৯০০ গোলের মাইলফলকে পৌঁছান তিনি।
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পর্তুগালের হয়ে আগের গোল করা দিয়াগো দালোত আবার আত্মঘাতী গোলও করেন। যে কারণে বলা যায়, ওই ম্যাচেও পার্থক্য তৈরি করেছিলেন রোনালদো।
vরবিবার রাতে হোমম্যাচে প্রথমার্ধে রোনালদোকে মাঠে নামাননি কোচ রবার্তো মার্টিনেজ। দ্বিতীয়ার্ধে পেদ্রো নেটোর বদলি হিসেবে খেলতে নামেন সিআরসেভেন। এদিন মাত্র ৭ মিনিটে গোল হজম করে পর্তুগাল। স্কটল্যান্ডের হয়ে গোলটি করেন স্কট ম্যাকতোমিনয়। এই গোলের বোঝা মাথায় নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করতে হয়েছে পর্তুগালকে।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে সমতায় ফেরে পর্তুগাল। ৫৪ মিনিটে রাফায়েল লিওয়ের অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তারকা। সময় প্রায় শেষের দিকে গেলেও কোনো দল গোল করতে না পারায় ম্যাচ হাঁটছিল ড্রয়ের দিকে। কিন্তু ৮৮ মিনিটে অতিথি দলের দর্শকদের স্তব্ধ করে দেন রোনালদো। নুনো মেন্ডিসের ক্রস থেকে ডানপায়ের দুর্দান্ত শটে স্কটল্যান্ডের জাল কাঁপান পতুগিজ তারকা। এতে ৪৪ বছরের আশা গুড়েবালি হয়ে যায় স্কটল্যান্ডের।
১৯৮০ সালের পর পর্তুগালের বিপক্ষে আর জয়ের দেখা পায়নি স্কটল্যান্ড। এবার একটি সুযোগ তৈরি করলেও সেটি বিনষ্ট করে দেন রোনালদো। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন ফার্নান্দেজ। সেখানে তাকে বলা হয়, রোনালদো প্রথমার্ধে না থাকার কোনো প্রভাব দলের উপর পড়েছে কিনা।
উত্তরে ক্যারিয়ারে ৬০০ ম্যাচ খেলা ফার্নান্দেজ বলেন, সে (রোনালদো) শুরুর দিকে মাঠে নামুক বা না নামুক, প্রভাব সবসময় একই থাকে। যারা (বদলি) এসেছিল তারাই পার্থক্য তৈরি করেছে। ক্রিশ্চিয়ানোর একটি গোল আছে। আজ সে ৯০১তম গোল করেছে এবং এখন সে হাজারের পথে রয়েছে; যা সে চায়।পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ-এ১ এর নেতৃত্ব দিচ্ছে পর্তুগাল। গতকাল গ্রুপের অন্য ম্যাচে পোলান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে আছে ক্রোয়েশিয়া।