আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার বিকেলে মামলার আসামি এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার দেখিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে সাঈদ পুলিশকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘গুলি করলে কর’। এ কথা বলে তার দুই হাত প্রসারিত করে একাই দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গুলি বর্ষণ করলে বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সাঈদ। পরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রিকশায় পরে অটোতে করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে গত ১৮ আগস্ট রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজু আহামেদের আদালতে এএসআই আমীর আলীকে এক নম্বর এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে ২ নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- পুলিশের সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মনিরুজ্জামান, দুই সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফ হোসেন, আল ইমরান হোসেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলাম এসআই বিভুতি ভুষন রায়, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীমসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জনের কথা উল্লেখ করা হয়।